জেলাব্রান্ডিংকি ?
জেলাব্রান্ডিং এমন একটি কর্মযজ্ঞ যার আওতায় একটি জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে বিবেচনায় রেখে জেলার সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে তার স্বাতন্ত্র ও সম্ভাবনাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে সার্বিক কর্ম-পরিকল্পনা প্রনয়ন এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের যে রুপকথা রয়েছে তাবাস্তবায়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েরএটুআই প্রোগ্রাম জেলা-ব্রান্ডিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণকরে।
জেলাব্রান্ডিংএরউদ্দেশ্য
কি কি নিয়ে জেলাব্রান্ডিং ?
পর্যটকআকর্ষণ, প্রসিদ্ধপণ্য, বিশেষউদ্যোগ, বিখ্যাতখাবার, জনমূখীসেবা, জনহিতকর উদ্ভাবন ও সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে জেলাব্রান্ডিংকরা হয়।
জেলাব্রান্ডিং এর প্রেক্ষাপট
বর্তমানসরকার একটি ক্ষুধামুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার রুপকল্প -২০২১ এবং রুপকল্প-২০৪১ প্রনয়ন করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যমআয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করবেএ বং ২০৪১ সালের মধ্যে ধনীদেশেউন্নীত হবে। জেলাব্রান্ডিংয়ের উদ্দেশ্য হলো জেলার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনুসদ্ধান করা।
চুয়াডাঙ্গা জেলাব্রান্ডিং ও লোগোর যৌক্তিকতা
চুয়াডাঙ্গা জেলার ব্রান্ডিং হিসাবে ব্লাকবেঙ্গল গোটকে নির্বাচিত করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে আছে কেরু এন্ড কোং, পান, ভুট্টা এবংব্লাকবেঙ্গল গোট। কেরু এন্ড কোং প্রতিষ্ঠাণ হিসাবে নির্বাচিত করা যায়নি। ব্লাকবেঙ্গল গোটের মাংস ও চামড়ার চাহিদা বিশ্বজুড়ে। সেইকারণে ব্লাকবেঙ্গল গোটকে ব্রান্ডিংনির্ধারণ করা হয়েছে এবংএকটি লোগো নির্ধারণ করা হয়েছে।
যেতে হবে বহুদুর
জেলা ব্রান্ডিং সকল জেলায় ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উম্মোচন করেছে। বিভিন্ন জেলা কর্তৃক ইতোমধ্যে চিহ্নিত বিভিন্ন সম্ভাবনাসমূহের যথাযথ বিকাশের লক্ষ্যে প্রয়োজন স্থানীয় উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব এবং সংশ্লিষ্টমন্ত্রণালয়/বিভাগ ও সংস্থাসমূহের পৃষ্ঠপোষকতা। সকলের সম্মিলিত প্রয়াস এবং অংশগ্রহণে জেলা-ব্রান্ডিং উদ্যোগ সফল হবে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মর্যাদার নতুন আসনে অধিষ্ঠীত হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস