ঠাকুরপুর মসজিদঃ
চুয়াডাঙ্গা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে একটি পুরোনো মসজিদ আছে। ১৬৯৮ সালে শাহ্ আর মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন চিশ্তী ওরফে শাহ্ আফু পশ্চিম থেকে নবগদা পেরিয়ে এসে ঠাকুরপুর গ্রামে আস্তানা গাড়েন। তিনি একজন নির্জন সাধক ছিলেন। সবসময় ধ্যানমগ্ন থাকতেন, নামাজের সময় হলে কদাচ তিনি বাইরে আসতেন।
জামজামি মসজিদঃ
আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি গ্রামের কাজী গোলাম বাংলা ১৩০৭ সালে কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া শাহী মসজিদের অনুরুপ একটি বর্গাকার মসজিদ তৈরি করেন। মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ৩৬ ফুট। তিনি গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদের বারান্দার দেয়ালে সুন্দর নক্শা আঁকা আছে।
তিওরবিলা মসজিদঃ
নবাব আলীবর্দ্দী খানের আমলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিওরবিলা গ্রামে একটি মসজিদ নির্মিত হয়। বাংলা ১১৬৮ সালের ৯ কার্তিক তারিখে একখন্ড সদনমূলে রানী ভবানী এই মসজিদ তৈরি ব্যবস্থাপনা ও তদারকির জন্যে২৫ একর ৩৫ শতক জমি ওয়াক্ফ করে দেন। জনৈক বক্তার চৌধুরীকে মুতাওয়াল্লী নিযুক্ত করা হয়। পরে এই সম্পত্তি ইংরেজি ১৯৪১ সালে বৃটিশ সরকারের ৮০২৭ নং ওয়াক্ফ এস্টেট হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু মসজিদের সম্পত্তি আত্নসাত করা হয়। আদি কাগজপত্রেরও কোন হদিস নেই। অপরদিকে তদারকি ও সংস্কারের অভাবে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়লে সেখানে নতুন মসজিদ নির্মিত হয়।
শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ মন্দিরঃ
১৯১৭ সালে চুয়াডাঙ্গার ফেরিঘাট রোডে বৈদ্যনাথ আগরওয়ালা, মোহনলাল আগরওয়ালা ও শনি নারয়ণ আগরওয়ালার উদ্যোগে শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। উল্লেখিত তিনজন ভারতের রাজস্থান থেকে এখানে এসে ব্যবসা শুরু করেন এবং প্রতিপত্তি অর্জন করে বণিকদের উপাস্য দেবতা শ্রী সত্যনারায়ণের নামে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
গীর্জাঃ
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৫টি গীর্জা ও কয়েকটি মিশনারি আছে। এগুলো হচ্ছে কার্পাসডাঙ্গার চার্চ অব বাংলাদেশ ও রোমান ক্যাথলিক চার্চ, খেজুরায় চার্চ অব বাংলাদেশ, ডিঙ্গেদহে এস.ডি.এ (SeventIB day advantage) এবংবাঘাডাঙ্গায় রোমান ক্যাথলিক চার্চ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস