অবস্থান |
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তে চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান। ২৩.৩৯ ডিগ্রি অক্ষাংশ এবং ৮৮.৪৯ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত এই জেলার জীবননগর থানার উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে। |
সীমা |
চুয়াডাঙ্গা জেলার পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা, উত্তর-পশ্চিমে মেহেরপুর জেলা, উত্তর-পূর্বে কুষ্টিয়া জেলা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ঝিনাইদহ জেলা অবস্থিত। |
ভূ-প্রকৃতি |
চুয়াডাঙ্গা গাঙ্গেয় অববাহিকায় অন্তর্গত অঞ্চল। প্রায় সমতল থেকে সামান্য বন্ধুর এই প্লাবনভূমি গঙ্গার পানিবাহিত চুনযুক্ত পলিতে গড়া। সম্পূর্ণ এলাকাটি উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্বদিকে ক্রমশ ঢালু। এ অঞ্চলে পদ্মা বারংবার গতি পরিবর্তন করায় এবং চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মার বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার গতি পরিবর্তন, ভাঙন ও মৃত্যু এ জেলার ভূপ্রকৃতিকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য দিয়েছে। এ জেলা অতি প্রাচীন নয়, আবার অর্বাচীনও নয়। অনুমান করা যায়, দুই থেকে আড়াই হাজার বছরের মধ্যে এ অঞ্চলের জন্ম। সুতরাং এ জেলাকে পুরাতন চরাঞ্চল বলা যুক্তিসঙ্গত। জেলার নদীর পাড় এলাকা সচরাচর দোঁআশ থেকে এঁটেল-দোঁআশ ও কিছুটা উঁচু ডাঙ্গা জমি এবং নদীয়া সরাসরি প্রভাবযুক্ত এলাকা অতি মিহি এঁটেল ও নিচু বিল জমি দিয়ে গঠিত। ডাঙ্গা এলাকার দোঁআশ পলির ২/১ মিটার নিচে আবার কোথাও উপর থেকেই বেলে স্তর আছে। পুরানা ডাঙ্গা এলাকর পাশের মজা নদীখাত প্রায়ই এঁটেল পলিতে ভরাট। চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকর পলির তুলনামূলক বয়সের প্রেক্ষিতে গঙ্গার প্লাবনভূমির প্রধানত দুট বৈশিষ্ট্য দেখা যায়- পুরানা গাঙ্গেয় প্লাবনভূমি ও মিশ্রিত নতুন-পুরানা প্লাবনভূমি। |
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা |
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে চুয়াডাঙ্গা ১১.৫ মিটার (৩৮ ফুট) উপরে অবস্থিত। এ উচ্চতা উত্তর-পশ্চিমাংশে বেশি এবং দক্ষিণ-পূর্বাংশে কম। এই তারতম্যের কারণে বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়ার কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সমুদ্র থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস